দলীয় সভাপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদকের মতো পদ সংযোজনসহ নানা পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে। দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত গঠনতন্ত্র উপকমিটির সভায় গতকাল এসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র উপকমিটির সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিশ্বের রাজনীতিতে অত্যন্ত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব। আগের সভানেত্রীর সেই পাওয়ার রাখলে চলবে না। সুতরাং এগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের গঠনতন্ত্রের ঘোষণাপত্রে এগুলোর প্রতিফলন হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হলো জনগণের পার্টি। যা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করে। বাংলাদেশের ইতিহাস হলো আওয়ামী লীগের ইতিহাস। আমাদের পবিত্র সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার রাজনৈতিক ঘোষণার দলিল হিসেবে এটা দেওয়া হয়েছে। এটার বিপরীতে কেউ কথা বললে তার শাস্তি আছে। স্বাধীনতার ঘোষণাও এখন সংবিধানের অংশ। এখন সংবিধানের ধারাগুলো গঠনতন্ত্রে আসবে।
সভার শুরুতে গঠনতন্ত্র উপকমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কিছু দিন আগেও ইউনিয়ন, পৌরসভা নির্বাচন নির্দলীয় হতো। এখন এগুলো দলীয় ভিত্তিতে করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের গঠনতন্ত্রে এই নির্বাচনটি পরিচালনা করার বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী বাছাই করতে আমাদের সংসদীয় বোর্ড আছে। আমরা ওই কমিটি একটু বাড়িয়ে ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রার্থীদের বাছাই করেছি। এটা একটা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা ছিল। ভবিষ্যতে এটা আমরা কীভাবে করব, সেটা গঠনতন্ত্রে আসবে। তিনি বলেন, নতুন দু-একটি বিভাগ হয়েছে, সেগুলোতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হতে পারে। জনসংখ্যার আনুপাতিক বিবেচনায় প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ বাড়বে কিনা সে বিষয়ে আলাপ হবে। আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রয়েছেন। এখন কথা উঠেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক করার বিষয়ে। তিনি বলেন, আমরা একটা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব কাউন্সিলে পেশ করব। সেখানেও অনেক সদস্য প্রস্তাব দেওয়ার সুযোগ পাবেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকবেন। আর সেখানেই গঠন চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। আবদুর রাজ্জাক বলেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য দেশের সব জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ১১ জুন ওই চিঠির জবাব দেওয়ার শেষ সময়। কেউ কেউ টেলিফোনেও আমাদের অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সংশোধনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আকতারুজ্জামান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, আবদুল মতিন খসরু, আফজাল হোসেন, আবদুর রহমান, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।
– See more at: http://www.bd-pratidin.com/first-page/2016/06/10/150051#sthash.nhrUrj8F.dpuf
পাঠকের মতামত: